মোহাম্মদ হাফিজকে নিয়ে ইংল্যান্ড সফরের আগে কম নাটক করেনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। বোর্ডের অধীনে টেস্ট করে করোনা পজিটিভ হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়ে যান ৩৯ বছর বয়সী এ অলরাউন্ডার।
তার শরীর থেকে করোনা যাতে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সংক্রমিত হতে না পারে, সেজন্যই বাড়তি সতর্কতায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে করোনা টেস্ট করান হাফিজ। তখন রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। সেই রিপোর্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করায় পিসিবির চক্ষুশূল হয়ে পড়েন পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক।
তখন অনেকেই মনে করেছেন পিসিবি হয়তো শৃঙ্খলাভঙ্গের অজুহাত দেখিয়ে ইংল্যান্ড সফরে হাফিজকে পাঠাবে না কিন্তু হাফিজের ওপর টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থা ছিল। সেই আস্থার আরও একবার প্রমাণ রাখলেন ‘বুড়ো’ হয়ে যাওয়া হাফিজ।
৪০ বছর ছুঁই ছুঁই এই তারকা ব্যাটসম্যান মঙ্গলবার খেললেন ৫২ বলে ৬টি ছক্কা আর ৪টি চারের সাহায্যে ৮৬* রানের ক্যারিয়ারসেরা লড়াকু এক ইনিংস। তার ব্যাটে ভর করেই চার উইকেটে ১৯০ রানের বড় সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৮৫ রানে ইনিংস গুটায় স্বাগতিক ইংল্যান্ড।
হাফিজের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়েই সফরের শেষ ম্যাচে ৫ রানের জয়ে সিরিজে ১-১ সমতা আনে পাকিস্তান। দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন হাফিজ।
ইংল্যান্ড সফরে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে হেরে তীব্র সমালোচনায় পড়ে যায় আজহার আলীর নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান। এরপর তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম খেলাটি শুরু হয়েও বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়। দ্বিতীয় ম্যাচে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৯ রান করেন হাফিজ। তার ব্যাটে ভর করে ৪ উইকেটে ১৯৫ রানের বিশাল সংগ্রহ করেও পাঁচ উইকেটে হেরে যায় পাকিস্তান।
দ্বিতীয় ম্যাচের মতো তৃতীয় ম্যাচেও দলের ত্রাতার ভূমিকা পালন করেন হাফিজ। তার ক্যারিয়ারসেরা ৮৬ রানের ইনিংসের সুবাদেই পরাজয়ে সফর শুরু করা পাকিস্তান জয়ে শেষ করতে সক্ষম হয়। টি-টোয়েন্টি সিরিজের দুই ম্যাচে ৬৯ ও ৮৬* রানের ইনিংস খেলে সিরিজ সেরার পুরস্কার জেতেন হাফিজ
মন্তব্য করুন