বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) আরও তিনটি ডিসিপ্লিন ভারোত্তোলন, হ্যান্ডবল ও স্কোয়াশ যোগ হয়েছে সম্প্রতি।
গেল বছর অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল গলফ, কাবাডি ও ব্যাডমিন্টন। এ নিয়ে ২৩টি ডিসিপ্লিন হল দেশের একমাত্র ক্রীড়া বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানে।
গত ৯ আগস্ট যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বিকেএসপির পরিচালনা বোর্ডের স
ঙ্গে এক সভায় শেষ তিনটি ডিসিপ্লিন যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেন। বিকেএসপির বাকি ১৭টি ডিসিপ্লিন হল- আরচারি, অ্যাথলেটিক্স, বাস্কেটবল, বক্সিং, ক্রিকেট, ফুটবল, জিমন্যাস্টিক্স, হকি, জুডো, কারাতে, শুটিং, সাঁতার, টেবিল টেনিস, তায়কোয়ান্দো, টেনিস, ভলিবল ও উশু।
হ্যান্ডবল যুক্ত হওয়ায় খুশি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কোহিনুর। তার কথায়, ‘খুবই ভালো খবর আমাদের জন্য। ভালোমানের খেলোয়াড় যাতে বের হয়ে আসতে পারে সেজন্য বিকেএসপির সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করব আমরা।’ ভারোত্তোলন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক লে. কর্নেল নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের জন্য ভালো খবর। আশা করি, ভবিষ্যতে মাবিয়াদের মতো ভারোত্তোলক পাব বিকেএসপি থেকে।’
১৯৮৬ সালে ৩০ জন ফুটবল ও ৬০ জন হকি খেলোয়াড় নিয়ে সাভারের জিরানিতে যাত্রা শুরু করে বিকেএসপি। গত ৩৪ বছরে দেশজুড়ে পাঁচটি আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও দিনাজপুরে হয়েছে। সূত্র জানায়, কক্সবাজারের রামু, রাজশাহী ও ময়মনিসংহে আরও তিনটি কেন্দ্র সম্প্রসারণের অপেক্ষায়।
১৯৮৭ সালে ফুটবল ও হকির সঙ্গে যোগ হয় অ্যাথলেটিক্স, সাঁতার, ক্রিকেট ও টেনিস। ১৯৯১-তে জিমন্যাস্টিক্স, ’৯৪-তে বক্সিং, ’৯৭-তে বাস্কেটবল, ২০০০ সালে শুটিং, ২০০৯-এ আরচারি ও জুডো, ২০১২-তে কারাতে, টেবিল টেনিস, তায়কোয়ান্দো, ভলিবল ও উশু, ২০১৯ সালে গলফ, কাবাডি ও ব্যাডমিন্টনের সঙ্গে মেয়েদের হকি যুক্ত হয়।
সবশেষ এ বছর ভারোত্তোলন, হ্যান্ডবল ও স্কোয়াশ অন্তর্ভুক্ত হল। বিকেএসপির আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোর মধ্যে বরিশালে ফুটবল, তায়কোয়ান্দো, উশু ও কারাতে, চট্টগ্রামে শুধু ক্রিকেট, দিনাজপুরে ক্রিকেট ও সাঁতার, খুলনায় ফুটবল ও ক্রিকেট এবং সিলেটে শুধু ফুটবল ডিসিপ্লিন রয়েছে। প্রতিটি জেলায় বিকেএসপির আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।